![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/April-2022-2.jpg)
ভাণ পত্রিকা
চতুর্বিংশতম সংখ্যা, সপ্তদশ ই-সংস্করণ, এপ্রিল, ২০২২
সম্পাদক :
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2021/08/b040b0_45afbde0f8f748c79cfbff99eef81d25_mv2-150x150.png)
সম্পাদনা সহযোগী :
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2021/08/b040b0_759cdd3dbeee43cf86e3c6b21e760bbe_mv2-150x150.png)
প্রচ্ছদ :
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/20210830_184948-150x150.png)
নক্সা পরিকল্পক :
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2021/08/b040b0_c9c583acc1444109b6384cdba4c1af01_mv2-150x150.png)
অন্যান্য কাজে :
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2021/08/b040b0_e064a731345341f28c345444c4a6506c_mv2-150x150.png)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2021/08/b040b0_c0d63ec0a5ed4b42a7d589770dfa181f_mv2-150x150.png)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2021/08/5b9835_8d5ab6a2e07b4f3f84d49b7a2e229e44_mv2-150x150.webp)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2021/08/5b9835_3de77bb138004572abbe2f1ebda0e008_mv2-150x150.webp)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2021/08/5b9835_e347bfe111a5470a9a39b33c2c076357_mv2-150x150.webp)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/01/l-150x150.png)
ভাণ-এর পক্ষে:
পার্থ হালদার
কর্তৃক
৮৬, সুবোধ গার্ডেন, বাঁশদ্রোণী, কলকাতা : ৭০০০৭০ থেকে প্রকাশিত। যোগাযোগ : ৯৬৪৭৪৭৯২৫৬
( হোয়াটসঅ্যাপ ) ৮৩৩৫০৩১৯৩৪ ( কথা / হোয়াটসঅ্যাপ )
৮৭৭৭৪২৪৯২৮ ( কথা ) [email protected] ( ই – মেল )
Reg. No : S/2L/28241
সূচি
বি-থিয়েটার: একটি স্বপ্নের পুনর্জন্ম, সাক্ষী থাকলো ভাণ
নাট্য নিয়ন্ত্রণ এর আগে পিছে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ভাবালেন (৩ য় পর্ব ) – ময়ূরী মিত্র
যাপিত নাট্য: নাট্যজীবনের স্মৃতিকথায় – কুন্তল মুখোপাধ্যায়
কাশ্মীর ফাইলস: কথা কিন্তু একটা নয়। বিশ্লেষণে – কৌশিক দাস
প্রাচ্য’এর ‘বালজাকের প্রেমিকারা’ দেখে মুগ্ধ হলেন – সোমোয়েত্রী চ্যাটার্জী
ব্রিজারটন সিরিজ: একবার দেখাই যায়, মন্তব্য করলেন – অভিষ্যন্দা লাহিড়ী দেব।
সম্পাদকের কথা
সত্যজিৎ বলেছিলেন যত কান্ড কাঠমান্ডুতে। কিন্তু কলকাতাবাসী বুঝছে অতদূর আর যেতে হবে না। নানা কান্ড এখন কলকাতাতেই। বীভৎস সব কান্ডের বধ্যভূমি আমাদের এই বঙ্গ দেশ। যেখানে দিনের আলোয় মানুষের ধড়-মুন্ড আলাদা করা যাচ্ছে। বাইকে বসে থাকা জনপ্রতিনিধির মাথায় টকাস করে গুলি গুঁজে দৌড়ে ছুটে পালানো যাচ্ছে। এরা সব রাজনীতিকদের প্রিয় পোষ্যের দল। জনগণ যাদের দুষ্কৃতী নামে চেনে। পুলিশ মাঝরাতে হামলা করছে। ছাত্রনেতার রক্তাক্ত শরীর রাজপথে। মাছিরা ফিরে আসছে। বোর্ড গড়তে কাউন্সিলর কম পড়লে বিরোধী গোষ্ঠীর কাউন্সিলর কে খুন করে তকত রাখা যাচ্ছে। একই দলের দুই উন্মত্ত গোষ্ঠীর দৌরাত্মে রামপুরেই লঙ্কাকাণ্ড বাঁধানো যাচ্ছে। থানার হস্তক্ষেপে নাকি রঙ বদলও ঘটছে। আমি নেতা কেন হব না!?- এই দাবি তে রাস্তা অবরুদ্ধ করা যাচ্ছে। আর চাষীর ডাকা হকের দাবির হরতাল ভাঙতে সর্বশক্তি প্রযুক্ত হচ্ছে।ঘরে আগুন দিয়ে বাইরে তালা দেওয়া যাচ্ছে। আর সেই তালার কী ম্যাজিক , কানে তালা ধরাচ্ছে তথাকথিত বিদ্বজ্জনের।
নিষ্ঠুরতা অমানবিকতার বাহারি উদযাপন এখন নিত্যদিনের ঘটনা ( মোটেও রটনা নয়) । অতঃপর” তাঁরা” “কাজ”এ ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। লজ্জার মাথা খেয়ে কখনও বা ক্ষীণতর স্বরে মিনমিনাচ্ছেন।। এ যে ভারী ফ্যাসাদ হল। যেন আরেকটু ধামাচাপা থাকলে পরিস্থিতি, এরকম বেকায়দায় পড়তে হতো না। এই যাকে অন্য মার্গের বামপন্থা ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করেছি তার এহেন রূপ দেখে এখন তেনাদের মুখোশের ফুটো প্রসারিত হচ্ছে।
পড়শীর ঝগড়াতে আক্রমনাত্মক পড়শী যেমন করে শোনায়, ” তুই নিজে কি? তুই যে এত কথা কইছিস!??”.. একথা এখন বুদ্ধিজীবীদের দিকে ঘুরিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। বলতে ইচ্ছে করে এতো লালসা নিয়ে লম্পট হওয়া যায়, বুদ্ধিজীবী নয়। আজ অনেকটা চেঁচালেও ওদের মিনমিনে লাগবে। শঙ্খ ঘোষ পরবর্তী জামানায় এটা একটা সত্যিকারের সংকট বটে। নন্দীগ্রাম সিঙ্গুর এ যারা সঙ্গতভাবে শিরা ফুলিয়ে ছিলেন, তারা কী অসঙ্গতভাবে চুপ মেরে গেলেন, দেখলে হাসি পায়। বমিও। ক্ষমতাতন্ত্র নিয়ে চারটি কোটেশন সহ গরম গরম বাচনের নাম যে বুদ্ধিজীবিতা নয়, একথা ক্রমশ হাড়ে মাংসে টের পেতে শুরু করেছেন তেনারা। গন্ডারের চামড়ার কিছু স্বঘোষিত বিদ্বজ্জনের অবশ্য সে সঙ্কটটুকুও নেই! তারা পূর্বের মতো উলঙ্গ হয়ে সভ্যতার ঠিক বেঠিক এর রাস্তা বাতলাচ্ছেন। আগামিতেও বলবেন।যতক্ষণ দেহে আছে প্রান, ততাবধি হৃদয়ে শয়তান। সত্যের জন্য ব্যক্তিগত সুখ কে যারা কোনো মূল্যে ছাড়তে রাজি নন, “আমি” পুজোর সাময়িক বিরতিও যাদের নাপসন্দ, তাদের পক্ষে বড্ড মুশকিল এ ঝক্কি পোহানো।সে কথা আর কতভাবে প্রমাণ হবে?
এরপরেও আনন্দ জাত, এবিপি ভজা, জি এ গজা, পেজথ্রি প্রার্থী,…. বহুল প্রচারিত অগ্রগামী বাঁদরামি ছাড়িয়ে , আশার কথা ; অনেক অখ্যাত কিন্তু হৃদয়বান বুদ্ধিমান প্রজ্ঞাবান মানুষ আছেন এদেশে। তাদের জোট দরকার নেই। ওটা ভোটের জন্য তোলা থাক। একটা যোগাযোগ চাই। পুণ্যতোয়া ক্রোধ গুলো বিকশিত হবে তাতে। পবিত্র ক্রোধের বড় দরকার আজ। যা মক্কা মদিনা গীর্জা কেদারনাথে নেই। তার উৎসস্থল সৎ যাপন। সেই ক্রোধে পুড়ে যাক ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা। আমাদের এইমাত্র কামনা।
বি-থিয়েটার: একটি স্বপ্নের পুনর্জন্ম, সাক্ষী থাকলো ভাণ
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/20220408_043636-300x228.jpg)
বি- থিয়েটার: একটি স্বপ্নের পুনর্জন্ম।।সাক্ষী থাকল ভাণ….
বিনোদিনী কি কেবল নিজের যশ চেয়েছিলেন? তার মধ্যে কি অগুনতি বিনোদিনীরা ছিলেন না? ছিলেন না কি স্মৃতি ও ভবিষ্যতের বিনোদিনীরা? তাঁর মতো ইতিহাস তৈরি করা মহানটীর নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে একটা নাট্যমঞ্চের নাম হওয়া কি অত্যন্ত অস্বাভাবিক হতো? তবু সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বি থিয়েটার স্থাপিত হয় নি।স্টার থিয়েটার তৈরি হয়েছে তার বদলে। এক যুগ অভিনয়ে ইতিহাস তৈরি করে স্বেচ্ছানির্বাসনে গেছেন বিনোদিনী। একেবারে অন্যধারার ভিন্ন উচ্চারণের কবি হয়েও ” বঙ্গের মহিলা কবি” নামের বইতেও তিনি উচ্চারিত হননি। তারপর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল।
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/20220408_043915-300x197.jpg)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/20220408_045752-300x228.jpg)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/20220408_045854-214x300.jpg)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/20220408_050019-300x147.jpg)
নাট্য নিয়ন্ত্রণ এর আগে পিছে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ভাবালেন (৩ য় পর্ব ) - ময়ূরী মিত্র
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/IMG-20210322-WA0000-261x300.jpg)
যাপিত নাট্য: নাট্যজীবনের স্মৃতিকথায় - কুন্তল মুখোপাধ্যায়
কুন্তল মুখোপাধ্যায়
আজ ২৭শে মার্চ, ২০২২, বিশ্ব নাট্যদিবস। ১৯৬১ সালে ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট এই দিনটিকে বিশ্ব নাট্য দিবস হিসাবে চিহ্নিত করেন। প্রথম বছর এই দিনে বাণী দিয়েছিলেন জ্যঁ ককতো, তারপর থেকে প্রতি বছর পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে বিশিষ্ট নাট্যজনরা এই দিনে বাণী দিয়ে চলেছেন, এবছর বাণী দিয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেতা পিটার সেলার্স। এই দিনের মূল বার্তা হল থিয়েটার ও শান্তির সংস্কৃতি প্রচার। এই কথাগুলো আসলে ধান ভানতে শিবের গীতের মত। এবারের বিশ্ব নাট্য দিবস ব্যক্তি আমি’র কাছে খুবই আনন্দময় হয়ে উঠেছে, এই কারণে যে এই দিনে কলকাতায়, বহরমপুরে, নিউব্যারাকপুরে, হাওড়ায় ও বর্ধমানে আমার লেখা পাঁচটি নাটকের সংলাপ অভিনয় হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আমার দলের সংলাপ কোলকাতার ‘চোপ আদালত চলছে’ আর বহরমপুরে ঋত্বিক এর ‘শূদ্রায়ণ’ প্রথমটি বিজয় তেন্ডুলকারের ‘শানতাতা কোর্ট চালু আছে’ সম্পাদিত ও সংশোধিত রূপায়ণ, যেখানে বিজয় তেণ্ডুলকর, সুলভা দেশপাণ্ডে, অরবিন্দ দেশপাণ্ডে, তৃপ্তি মিত্র, শম্ভু মিত্র, সত্যদেব দুবেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সংলাপ আকাদেমী মঞ্চে পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে অভিনয় করেছে, আর দ্বিতীয়টি কম্বন রামায়ণ অনুসৃত সৃজন শূদ্রায়ণ, যা সংলাপ ১৯৯৮ সালের ১লা ফ্রেব্রুয়ারি তে শুরু করে ২০০০ সাল অবধি প্রায় দেড়শত রজনী অভিনয় করে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার, জাতীয় সম্মান লাভ করেছে। প্রথমটি পঞ্চাশ বছর আগের প্রযোজনা, দ্বিতীয়টি প্রায় বাইশ চব্বিশ বছরের পরেও এখনও প্রাসঙ্গিক মনে করেছে প্রযোজক দলটি। এটি ঐতিহ্যের পূর্ণনির্মাণ না অতীতের নাট্য ভাবনাকে বর্তমানের প্রেক্ষিতে দেখতে চাওয়া তা নিয়ে কথা হতেই পারে। যাই হোক না আমার ভালোলাগা আনন্দের কথা হল এই যে যখন প্রথম থিয়েটার শুরু করেছিলাম, তখন কি ভেবেছিলাম যাপিত নাট্য জীবন এতটা পথ চলতে পারবে, নাট্যসাগরে ছোট্ট ডিঙি নৌকা নিয়ে নানা বন্দর ঘুরে ঘুরে নাট্য সম্পদে ভরে উঠবে আমার ছোট্ট এই তরী এই সব ভাবতে ভাবতেই ভেসে ওঠে আমার ছেলেবেলা।
কিশোর কাল, যুবা বয়স থেকে আজ প্রৌঢ়ত্বের আঙিনায় দেখা এবং জড়িয়ে পড়া নাট্যজীবনের ছবি।
*
আমার জন্ম ও শৈশবের বেশ কয়েক বছর কেটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। এখনকার বহরপমপুরের জমজমাটি নগর জীবন দেখলে বোঝাই যাবে না, বিগত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে বহরমপুর কেমন ছিল। নাগরিক সভ্যতার বাহ্যিক আড়ম্বর প্রায় ছিল না বললেই চলে, বরং যেটা ছিল সেটা হলো স্বতস্ফূর্ত আন্তরিকতা, আমি বড় হয়েছি মামা বাড়ীতে, দিদু দাদু মামা আর মা বাবার আদরে প্রশ্রয়ে। মামা বাড়ীতে গান আর নাট্য চর্চার একটা চলন ছিল। মা মুর্শিদাবাদ জেলায় সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলেন, দাদু নাটক করতেন, বাবা কবিতা লিখতেন, ছবি আঁকতেন আর মামা ছিলেন একান্তই নাট্যমগ্ন পুরুষ, আর এদেঁর সকলের প্রশ্রয় ও আশ্রয়ের প্রধান ভরসা আমার দিদু। জ্ঞান হওয়া অবধি আমি গানশুনে আবৃত্তি ও ছড়া বলে, নাটকের মহড়া আর তার মঞ্চায়ণ দেখতে দেখতেই বড় হয়েছি। মার কাছে শুনেছি আড়াই বছর বয়সে মামার কোলে চড়ে ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেরানীর জীবন নাটকে আমার প্রথম মঞ্চ আবতরণ। মামা অনেক সময়ই (যে যে অভিনয় আমি দেখতে যেতে পারতাম না) নাটকের শেষে মেকআপ না তুলে দিদুর পাশে শুয়ে থাকা আমাকে জাগিয়ে মশারী তুলে নিজের রূপ সজ্জা দেখিয়ে তবে মেক আপ মুছে ফলতেন। আর আমি আধো ঘুমে আধো জাগরণে কখনও কর্ণাজুনের কর্ণ, উল্কার অরুনাংশু, দুই পুরুষের সুশোভন, বড়ঠাকুরানীর হাটের প্রতাপ, বিসর্জনের জয় সিংহ এর ছবিও কথা ভাবতে ভাবতে বাস্তবের উর্দ্ধে এক অন্য জগতে পৌঁছে যেতাম। আমার মামার নাম শংখশেখর গাঙ্গুলী, পরে কলকাতার যাত্রা জগতে তিনি শেখর গাঙ্গুলী নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। বহরমপুরে এখন চৌমাথায় মোড়ে চার্চের কিছু দূরে গ্রান্ট হলে নাটক হত, এছাড়া সূর্য সিনেমা হলে, খাগড়া মিশনারী স্কুলের মঞ্চে বা কৃষ্ণনাথ কলেজের মঞ্চে নাটক মঞ্চস্থ হত তবে বেশীরভাগ সময়েই মাঠে মাঁচা বেঁধে নাটক হত এবং তার বেশ কৌলিন্যও ছিল। শিশু বয়স থেকেই দেখেছি মামার বন্ধুরা দেবুমামা, মিন্টু মামা আমার মামা বাড়ির বৈঠকখানা ঘরের বড় তক্তাপোষ, আর আশেপাশের বাড়ির থেকে চৌকি তক্তাপোষ নিয়ে তিন চার ঘন্টার মধ্যেই মঞ্চ বানিয়ে ফেললেন পাড়ার কাছাকাছি কোনো ডেকারটার্সের কাছ থেকে পেছনের পর্দা (পরে জেনেছি সাইস্কোরামা) ও ড্রপিসনও জোগাড় হয়ে গেল। আমার থেকে একটু বড় সিধু মামা, মদন মামা, শীতল মামাদের কাজ ছিল বাচ্চা মামা হুইসিল বাজালেই দড়ি টেনে পর্দা খোলা ও বন্ধ করা। ওই মঞ্চেই দেখেছি মামা হয়ে উঠলো টিপু সুলতান, মিন্টু মামা ফরাসী সেনাধ্যক্ষ লালী, করুণা মামা (যার বৃত্তি ছিল পৌরহিত্য), তিনি হলেন হায়দার আলী, আর মামার থেকে বেশ কিছুটা বড় পশুপতি মামা টিপুর ভাই করিম শাহ। মামার থেকে বয়সে বড়, কিন্তু নাটকে ছোট ভাই বলেই কি পশুমামার করিম শাহ্ একটু মৃয়মান থাকবেন। আমাদের পাড়ার পূজোর মণ্ডপে পাশের লেঠেল মণ্ডপে, সোনাপট্টীতে, বা গঙ্গার ধারের মাঠে মঞ্চ বেঁধেও নাটকের অভিনয় হত। অনেক সময় সেই সব নাটকে কলকাতার মহিলা শিল্পীরা ছোট রাজলক্ষ্মী, লীলাবতি করালী প্রভৃতি অভিনয় করলেও আদতে লক্ষ্মীমামা, ভন্নুমামা, গণেশ মামারাই মেয়ে সেজে নাটকের মহিলা চরিত্র অভিনয় করতেন। সেই সময় বহরমপুরের ডাকসাইটে অভিনেতা ছিলেন কালু সমাদ্দার, মসীনবাবু এঁদের স্বীকৃতি পেলেই মামাদের অভিনয় সার্থক হ’ত। এছাড়া সেই সময়ে বহরমপুরে গণনাট্য সংঘ, ক্রান্তিশিল্পী সংঘের লোকজনেরাও নাটক করতেন। কলকাতা থেকে আসা নামকরা অভিনেতাদের বেশ কিছু নাটক আমি ছোটো বেলায় দেখেছি, তাদের মধ্যে কমল মিত্রের উচ্চতা, মহেন্দ্রগুপ্তের কণ্ঠস্বর আর সবযূবালার ব্যক্তিত্বময়ী চরিত্রায়ণের কথাই আমার মনে আছে। আর মনে আছে এম্ জি এন্টারপ্রাইজের (মলিনা গারুদাস) ঠাকুর রামকূষ্ণ ও রানী রাসমণি নাটক অভিনয় দেখা। শুনেছি এই সময়েই শম্ভু মিত্র, তৃপ্তি মিত্র সহ বহুরূপী নাট্য সম্প্রদায় ‘ছেঁড়া তার’ আর ‘চার অধ্যায় নাটক’ অভিনয় করতে এসেছিলেন, শব্দ প্রক্ষেপণ ও আলোর অপ্রতুলতা নিয়ে আয়োজক সংগঠনের সঙ্গে তাঁদের কিছু মতান্তরের কথাও শুনেছি মামার কাছে। তবে যেটা এখনই স্পষ্ট মনে আছে, সেটা হল মামাবাড়ির বৈঠকখানা ঘরে মামা মিন্টু মামার সঙ্গে বাচ্চা মামা, রামা মামা, করুণা মামার বহুরূপীর অভিনয় ধরণ নিয়ে জোর তর্ক বিতর্কের কথা। বাচ্চা মামা রামা মামা বহুরূপীর অভিনয়ের অনুনাসিক সুরের ব্যবহার নিয়ে তীব্র আপত্তি, আর মামা মিন্টু মামার বহুরূপীর দলীয় শৃঙ্খলা পুরাতন অভিনয় রীতির বদল ঘটিয়ে এক বাস্তবোচিত বিষয়ও অভিনয়ের ধরণ প্রবর্তনের প্রশংসা। এই সময় আমি না বুঝলেও জেনে ছিলাম অভিনয় রীতির প্রাচীন নবীন ভাগ আছে; বহরমপুরের কালু সমাদ্দার মসীনবাবু যদি হন প্রাচীন তবে কলকাতা আগত বহুরূপী হল নবীন। মামার হাত ধরে আমিও, না বুঝেই নবীনের দলে…
কাশ্মীর ফাইলস: কথা কিন্তু একটা নয়। বিশ্লেষণে - কৌশিক দাস
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/FB_IMG_1649516056084-683x1024.jpg)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/the-kashmir-files-review-Web-300x169.jpg)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/box-office-the-kashmir-files-is-superlative-on-opening-day-set-to-be-a-hit-001-300x158.jpg)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/kashmir-files-opening-weekend-box-office-update-300x300.webp)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/The-Kashmir-Files-2-300x218.jpeg)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/the-kashmir-files-1200-300x167.jpg)
![♦](https://fonts.gstatic.com/s/e/notoemoji/14.0/2666/32.png)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/MV5BZjI0YmMzNDctZGFkZi00NmIyLTk5NWEtMTU1MGRmMDQwNWU2XkEyXkFqcGdeQXVyODE5NzE3OTE@._V1_-209x300.jpg)
![♦](https://fonts.gstatic.com/s/e/notoemoji/14.0/2666/32.png)
![♦](https://fonts.gstatic.com/s/e/notoemoji/14.0/2666/32.png)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/The-Kashmir-Files-crosses-Rs.-200-cr.-at-the-worldwide-box-office-in-just-10-days-1-300x218.jpg)
![♦](https://fonts.gstatic.com/s/e/notoemoji/14.0/2666/32.png)
![♦](https://fonts.gstatic.com/s/e/notoemoji/14.0/2666/32.png)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/the-kashmir-files-has-been-produced-by-zee-studios--300x225.jpg)
![♦](https://fonts.gstatic.com/s/e/notoemoji/14.0/2666/32.png)
![♦](https://fonts.gstatic.com/s/e/notoemoji/14.0/2666/32.png)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/TKF_1647802499820_1647802537859-1-300x169.jpg)
![♦](https://fonts.gstatic.com/s/e/notoemoji/14.0/2666/32.png)
![♥](https://fonts.gstatic.com/s/e/notoemoji/14.0/2665/32.png)
![❤️](https://fonts.gstatic.com/s/e/notoemoji/14.0/2764_fe0f/32.png)
প্রাচ্য'এর 'বালজাকের প্রেমিকারা' দেখে মুগ্ধ হলেন - সোমোয়েত্রী চ্যাটার্জী
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/c13205bd-339e-49be-a1f7-2e8bda12e133-e1649656696441-206x300.jpg)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/FB_IMG_1649517226165-300x179.jpg)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/FB_IMG_1649517220471-238x300.jpg)
ব্রিজারটন সিরিজ: একবার দেখাই যায়, মন্তব্য করলেন - অভিষ্যন্দা লাহিড়ী দেব।
অভিষ্যন্দা লাহিড়ী দেব
ভোরবেলা কোনও এক অপেরা গায়িকার বিছানা থেকে উঠে বাড়ি ফিরছিলেন অ্যান্টনি ব্রিজারটন। এমনিতে ভদ্রলোক খুব চাপে আছেন। একে তো বাবার অকালমৃত্যুর পরে খুব অল্পবয়সে তাঁকে ভাইকাউন্ট হতে হয়েছে। আরও সাত ভাইবোনের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। তার মধ্যে মোটে এক বোনের বিয়ে হয়েছে। এবার তাঁকে বিয়ে করতে হবে। কারণ ইংল্যান্ডের ‘পিয়ার অফ দ্য রায়াল্ম’ হয়েছেন যখন, তখন বংশরক্ষা করাটা তাঁর রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের অন্যতম। এত দায়িত্বের চাপ সারা রাতের সঙ্গমও হাল্কা করতে পারেনি। তাই অ্যান্টনি ঘোড়ায় চেপে হাইড পার্কের ভিতর দিয়ে চলেছেন, সামনে দুলকি চালে চলেছে দুটো হাঁস। হাঁসের চেয়েও মন্থর গতিতে চলেছে অ্যান্টনির ঘোড়া। এমন সময় সেই কাকভোরে ঝড়ের গতিতে আর এক কালো ঘোড়ার সওয়ার ঢুকে পড়ে মাঠে। অ্যান্টনি অবাক। কারণ ঘোড়ার পিঠে বসে প্রায় উড়ে চলেছে একটি মেয়ে। একটু পরে জানা গেল তার নাম কেট শর্মা। ব্যস সেই যে একটা অসম্ভব প্রেম তৈরি হল, সেটাই গল্প।
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/IMG-20220409-WA0007-203x300.jpg)
![](https://bhaankolkata.com/wp-content/uploads/2022/04/IMG-20220409-WA0006-225x300.jpg)